কোরীয় যুদ্ধের কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া পরিবারগুলোর মধ্যে পুনর্মিলনের বিষয়ে একমত হয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া। মঙ্গলবার সিউলের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
চলতি বছরের অক্টোবরে উত্তর কোরিয়ার একটি পার্বত্য অবকাশ কেন্দ্রে বিরল এই পুনর্মিলনীর অনুষ্ঠানটি হওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সম্প্রতি দুই কোরিয়ার সীমান্তে একটি মাইন বিস্ফোরণে দক্ষিণের দুই সেনা আহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে দুপক্ষের মধ্যে আলোচনায় উত্তেজনা প্রশমণের পাশাপাশি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া পরিবারগুলোর মধ্যে পুনর্মিলনীর বিষয়ে সমঝোতা হয়।
১৯৫৩ সালের কোরীয় যুদ্ধে দুটি দেশ বিভক্ত হয়ে গেলে কয়েক হাজার পরিবারও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এদের কারো কারো পরস্পরের সঙ্গে ক্ষীণ যোগাযোগ থাকলেও কারো কারো একেবারেই নেই।
দেশ দুটির বৈরি সম্পর্কের কারণে একই পরিবারের বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া সদস্যরা পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়াই দশকের পর দশক পার করে দিতে বাধ্য হন।
দুদেশের কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে বেদনাহত এসব পরিবারের সদস্যরা ফের একত্রিত হওয়ার সুযোগ পেলে আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ১৯৮৮ সাল থেকে দেশ দুটির মধ্যে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া পরিবারগুলোকে মাঝে মাঝে একত্রিত হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু বিচ্ছিন্ন পরিবারগুলোর এই পুনর্মিলনী মাঝে মাঝে দুদেশের উত্তেজনাকর পরিস্থিতির কারণে বাতিল করা হয়। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে সর্বশেষ এ ধরনের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছিল।