জাদুঘর হচ্ছে অতীত ও ভবিষ্যতের সেতুবন্ধন। কালে কালে জাদুঘর মূলত পুরাকীর্তি সংরক্ষণ ও গবেষণার সূতিকাগারে পরিণত হয়। পুরাতত্ত্ব একটি জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, বিজ্ঞানের এগিয়ে যাওয়ার দৃষ্টান্ত তুলে ধরে, যার মধ্য দিয়ে সভ্যতার ক্রমবিকাশের ধারাকে চিহ্নিত করা যায়। সময়ের আবর্তনে এখন প্রতিটি জাতি নিজস্ব স্বকীয়তা, ইতিহাস, ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য গড়ে তুলছে স্বতন্ত্র জাদুঘর।
ভ্রমণ, যা কল্পনাকে জাগিয়ে তুলে। সৃষ্টিশীলতার মধ্যেও আনতে পারে আমূল পরিবর্তণ। মণকে গতিশীল রাখতে এবং সুন্দর সময় উপভোগ করতে আপনি ভ্রমণ করতে পারেন এশিয়ার বৃহত্তম যাদুঘর, কোরিয়ার জাতীয় যাদুঘর।
সিউল যাদুঘরটি ইওংসান-গু প্রদেশের ১৩৭ সিউবিংগু-রে তে অবস্থিত। এটি কোরিয়ার তথা এশিয়ার বৃহত্তম যাদুঘর। কোরিয় যাদুঘরটি 1945 সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি দেশের প্রতিনিধিত্বকারী একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন। এটি ছয় তলা বিশিষ্ট । এ যাদুঘরে বিভিন্ন ঐতিহাসিক এবং প্রত্নতত্ত জিনিসপত্র দেখা যায়।
কোরিয়ার জাতীয় যাদুঘরটি ইওংসান ফ্যামিলি পার্কের পাশে অবস্থিত। এ যাদুঘরটি যুদ্ধকালীন ধ্বংসাবশেষ একটি সংগ্রহ প্রদর্শণ করে। এ যাদুঘরে প্রাচীন হলটির দক্ষিণাংশে প্রদর্শণী কক্ষ রয়েছে যার মধ্যে প্রত্যেকটি পলিওলথিক বয়স থেকে বালা রাজ্যের যুগের ও বিভিন্ন যুগের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ওখানে প্রধাণত প্রাচীনত এবং ঐতিহাসিক আইটেমগুলি প্রাচীন কাল থেকে প্রদর্শণ করা হয়। এ যাদুঘরটির আধুনিক গ্যালারীতে ঐতিহাসিক নথি এবং বিভিন্ন দেশের মুখোশ ও প্রাচীনকালের মুখোশ পাওয়া যায়। সবমিলিয়ে এ জাতীয় যাদুঘরটিতে ৩১০,০০০ টি বিভিন্ন রকমের বস্তু পরিলক্ষিত হয়।
প্রতিবছর এ যাদুঘরটিতে প্রায় ৩৪৭,৬৬০৬ জন মানুষ ভীড় জমায়। এ যাদুঘরটি প্রতিদিন সকাল 9.30 থেকে সন্ধ্যা 6 টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এবং সাপ্তাহে মঙ্গলবার বন্ধ থাকে। এতে প্রবেশ করতে কোরীয় মুদ্রায় 2 হাজার ওন প্রয়োজন হয়। এবং 6 বছরের নিচে বাচ্চা এবং বৃদ্ধদের কোন টিকেট প্রয়োজন হয় না।
স্থান: যোনসান স্টেশন থেকে 1.5 কিলোমিটার দূরে ইওংসান ফ্যামিলি পার্কের পাশে অবস্থিত। এ যাদুঘরের পাশে পার্ক সহ আরো বিভিন্ন রকমের দর্শণীয় স্থান রয়েছে যা আপনি সত্যিই মুগ্ধ হবেন।