ভারতের বিপক্ষে ফতুল্লা টেস্টে এক পেসার ও চার স্পিনার নিয়ে বোলিং আক্রমণ সাজান অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। কিন্তু কোনো সুফল পায়নি বাংলাদেশ। বোলারদের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক।
টেস্টের প্রথম দিন ভারতের কোনো উইকেট তুলে নিতে পারেননি বোলাররা। উইকেট পেতে ৬৮ ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় বোলারদের। শেষ পর্যন্ত সাকিব আল হাসান ব্রেক থ্রু এনে দেন। এরপর তুলে নেন আরো তিনটি উইকেট। সাকিবকে ভালো সঙ্গ দেন জুবায়ের। জুবায়ের ২ উইকেট নেন। উইকেটশূন্য ছিলেন তাইজুল, শুভাগত হোম ও পেসার শহীদ।
পুরো বোলিং বিভাগই যখন ফ্লপ, তখন জয় পাওয়া কঠিন। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম বলেন, ‘আমাদের যে পরিকল্পনা ছিল, সে অনুযায়ী বোলিং হয়নি। তারপরও উইকেটের সহায়তা থাকুক না থাকুক একজন বোলারকে ভালো জায়গায় বল করতে হবে। অধিনায়ক পরিকল্পনা অনুযায়ী ফিল্ডিং সাজায়। তবে বোলার খাটো লেন্থে বা ফুলটস বল করলে, আসলে অধিনায়কের কিছু করার থাকে না। অধিনায়ককে বোকা মনে হবে। মনে হবে, অধিনায়ক কী পরিকল্পনা করছে? এটা আসলে বোলারের ওপর নির্ভর করে।’
পুরো বোলিং বিভাগের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে মুশফিক বলেন,‘আমাদের বোলারদের আরো স্কিলফুল হতে হবে। খুব বেশি বৈচিত্র না থাকলেও অন্তত ভালো জায়গায় কীভাবে বল করা যায়, তা জানতে হবে। চেষ্টা করলেই এটা অর্জন করা যায়। আমাদের বিপক্ষে অন্য দলগুলোর ব্যাটসম্যানরা যেভাবে স্বাচ্ছন্দ্যে রান করে, আমরা কোনো দলের বিপক্ষে অত স্বাচ্ছন্দ্যে রান করতে পারি না।’
বোলারদের উন্নতি করার পরামর্শ দিয়ে মুশফিকুর রহিম বলেন, ‘এটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। অনেক কষ্ট করে টিকে থাকতে হয়। বোলারদের এখনও উন্নতির অনেক জায়গা আছে। ব্যাটসম্যানরা আগের চেয়ে ভালো অবস্থায় আছে। আরো ভালো করতে হবে তাদেরও। কিন্তু তারপরও বলব, বোলারদের স্কিলে উন্নতি করতে হবে।’