জাপানের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানা শক্তিশালী ভুমিকম্পের পর ভুমিকম্প পরবর্তী প্রতিক্রিয়া, বেঁচে থাকা লোকজনের জীবণ বিপর্যস্ত করছে। হাজার হাজার লোকজন নিজেদের বাড়ি ঘর থেকে অন্যত্র সড়ে গেছেন, অনেকেই জরুরী আশ্রয়স্থানে বা নিজেদের গাড়ীতে ঘুমোচ্ছেন।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ভুমিকম্পের কারণে মৃতের সংখ্যা ৪৭ এ গিয়ে দাঁড়িয়েছে তবে নতুন ধরনের এক মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।উদ্ধার এবং পুনরুদ্ধার কর্মকান্ড মিনামি আসো নামক গ্রামে এখনো অব্যাহত রয়েছে। সেখানে এখনো পর্যন্ত নিখোঁজ থাকা আটজন লোকের খোঁজ করছে উদ্ধার কর্মীরা।
৬০টিও বেশী ভুমিধ্বস এবং কাদাধ্বসের কারণে তাঁদের কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে ৬২০টিরো বেশী কম্পন অনুভূত হয়েছে এবং আরো অনেক কম্পনের সম্ভাবনার মধ্যে দিয়ে তাঁদেরকে কাজ করতে হচ্ছে। নগর প্রশাসনের কার্যালয় এবং স্কুলের ভিতর ১ লাখেরও বেশী বেঁচে যাওয়া লোকজন আশ্রয় নিয়েছেন।
কর্মকর্তারা পা ফুলে যাওয়ার প্রবণতা যা বিমানের ইকনমি ক্লাস সিনড্রম বা ডিপ ভেন থমবসিস নামে পরিচিত এক রোগের বিষয়ে লোকজনকে সচেতন করার চেষ্টা করছেন। নড়াচড়া সীমিত থাকার ফলে প্রায়শই পায়ের মধ্যে শিরাগুলোতে রক্ত জমে গিয়ে এই অবস্থা দেখা যায়।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে কুমামোতা শহরে একজন মহিলা মারা গেছেন। গাড়িতে আশ্রয় নেয়া হাজারো লোকের মধ্যে তিনিও একজন ছিলেন।একই ধরনের লক্ষণ প্রায় অপর বিশ জনের মধ্যে দেখা যাচ্ছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় সরকারি কার্যালয়গুলোতে খাদ্য এবং জল পাঠানো হয়েছে। তবে এই ধরনের সরবরাহ প্রয়োজন থাকা লোকজনের কাছে পৌঁছে দেয়ার লোকের সংখ্যা যথেষ্ট নয়। টোকিওর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে তাঁরা এখন সরাসরি আশ্রয় কেন্দ্রে খাদ্য পাঠাবেন।
বেশীরভাগ বাড়িঘরগুলোতে এখনো পর্যন্ত বিদ্যুৎ, জল বা গ্যাস সরবরাহ নেই এবং এই সকল সেবা পুনরায় শুরু করার চেষ্টা করছে পরিসেবা কোম্পানিগুলো। আগামীকালের মধ্যে কুমামোতা জেলার সব জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ফিরে আসবে বলে তারা আশা করছে।