আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শুরু হয়েছে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষ। যা চলবে ১৩ জুলাই পর্যন্ত। অগ্রিম টিকিটের ট্রেন ছেড়ে যাবে ১৪ থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে।
রেল সূত্রে জানা যায়, ঈদ পরবর্তী সময়ে রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, দিনাজপুর ও লালমনিরহাট স্টেশন থেকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। বিক্রি হবে ১৬ থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত এবং ফেরত আসবে ২০ থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত।
এ ছাড়া স্পেশাল ট্রেন পরিচালনা করবে ঈদের তিন দিন আগে (১৫-১৭ জুলাই) এবং ঈদের পাঁচ দিন পরে (২০-২৬ জুলাই- চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করবে) ৫ জোড়া ও পবিত্র ঈদের দিন শোলাকিয়া স্পেশাল ২ জোড়া মোট ৭ জোড়া ট্রেন চলাচল করবে।
এর মধ্যে রয়েছে, দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা, ১৫-১৭ জুলাই ও ২০-২৬ জুলাই। চাঁদপুর স্পেশাল-১ : চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম , ১৫-১৭ জুলাই ও ২০-২৬ জুলাই। চাঁদপুর স্পেশাল-২ : চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম , ১৫-১৭ জুলাই ও ২০-২৬ জুলাই। পার্বতীপুর স্পেশাল : পার্বতীপুর-ঢাকা-পার্বতীপুর , ১৫-১৭ জুলাই ও ২০-২৬ জুলাই। খুলনা স্পেশাল : খুলনা-ঢাকা-খুলনা , ১৫-১৭ জুলাই ও ২০-২৬ জুলাই। শোলাকিয়া স্পেশাল-১ : ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব, কেবল পবিত্র ঈদের দিন। শোলাকিয়া স্পেশাল-২ : ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ- ময়মনসিংহ, কেবলমাত্র ঈদের দিন।
এ ছাড়া আন্তনগর ট্রেনের জন্য সাপ্তাহিক ছুটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। ১৩ জুলাই থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত আন্তনগর ট্রেনের জন্য সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে না। একজন যাত্রীকে সর্বাধিক চারটি টিকিট দেওয়া হবে এবং বিক্রীত টিকিট ফেরত নেওয়া হবে না। অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হবে পাহাড়তলী ওয়ার্কশপ থেকে ৮৬টি ও সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ থেকে ৮৩টি মোট ১৬৯টি (১০৯টি মিটারগেজ ও ৬০টি ব্রডগেজ)। অতিরিক্ত ২৫টি ইঞ্জিন সরবরাহ করা হবে।
এ ছাড়া ঈদ উপলক্ষে ১২-২৬ জুলাই সেলুন সংযোজন করা হবে।
কমলাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, ঈদে ট্রেন যাতে যথারীতি ছেড়ে যায় সেই চেষ্টা করা হবে। যাত্রী চাপ বেশি থাকলে স্পেশাল ট্রেনের সঙ্গে চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ট্রেনে অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হবে।
নিরাপত্তা এবং কালোবাজারি সম্পর্কে স্টেশন ম্যানেজার বলেন, টিকিট কালোবাজারি রোধে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। সাদাপোশাকে পুলিশ ছাড়াও রয়েছে আনসার এবং আর্মড পুলিশ।
এ ছাড়া ঢাকা, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট, রাজশাহী, খুলনাসহ সকল বড় স্টেশনে জিআরপি, আরএনবি ও স্থানীয় পুলিশ বিজিবি এবং র্যাবের সহযোগিতায় টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা হবে। তা ছাড়া জেলা প্রশাসকদের সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।
স্বাভাবিকভাবে প্রতিদিন বাংলাদেশ রেলওয়েতে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার যাত্রী পরিবহণ করা হয়। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রতিদিন প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার যাত্রী পরিবহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।