এটা কোন বাংলাদেশ! যে দলটির সঙ্গে ১৯৯৯ সালের পর ২৫ ম্যাচে জয় নেই, সেই দলের বিপক্ষে টানা দুই জয়! শুধু জয় বললে ভুল হবে, এটা সিরিজ জয়। এই জয়টা বাংলাদেশেরই প্রাপ্য। রোববার পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ ২-০তে জিতে নিল বাংলাদেশ। এবার হোয়াইটওয়াশের অপেক্ষা।
এর আগে বাংলাদেশ সফরে এসে দুবার স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করেছিল পাকিস্তান। এবার বাংলাদেশের পালা। শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাতে পারলে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ পাবেন টাইগাররা। পাকিস্তান হয়ে যাবে ‘বাংলাওয়াশ’। ২০০১ ও ২০১১ সালে বাংলাদেশ ৩-০তে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল। ২২ এপ্রিলের ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাতে পারলে একটি বদলা নেওয়া হবে বাংলাদেশের।
রোববার মিরপুরের মাঠে পাকিস্তানকে দাঁড়াতেই দেয়নি বাংলাদেশ। আগে ব্যাটিং করে পাকিস্তান ২৪০ রানের টার্গেট ছুড়ে দেয়। সেই টার্গেটে বাংলাদেশ পৌঁছে যায় ৭১ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে। বাংলাদেশের জয়ের নায়ক নির্বাচিত হন তামিম ইকবাল। এদিনও ব্যাট হাতে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলে বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তামিম। বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যাটিং করে ১১৬ বলে ১১৬ রান করেন তিনি। ১৭টি চার ও ১টি ছক্কায় তামিম তার ইনিংসটি সাজান। এর আগে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মাত্র ৩১ বলে । হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিতে ১২টি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি।
এদিকে তামিমের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ব্যাটিং করেন মুশফিকুর রহিম। ৬৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে। তৃতীয় উইকেটে এই জুটি ১১৮ রান সংগ্রহ করেন। ইনিংসের শুরুর দিকে ১১ বলে সৌম্য সরকার ১৭ রানে বিদায় নিলেও তামিম ছিলেন অবিচল। দ্বিতীয় উইকেটে ৭৮ রান যোগ করেন মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে। যেখানে মাহমুদউল্লাহ ১৭ ও তামিম করেন ৫৬ রান। শতরানে মাহমুদউল্লাহর বিদায়ের পরও বিচলিত হননি তামিম।
বরং মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন তিনি। তাদের দুজনের ১১৮ রানের জুটিতে বড় জয়ের প্রান্তে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। শেষ দিকে মুশফিক ৬৫ রানে ফিরে গেলেও তামিম দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
এর আগে পাকিস্তানকে ২৩৯ রানে আটকে দেয় বাংলাদেশ। বল হাতে বোলাররা ছিলেন দুর্দান্ত। সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন সাকিব আল হাসান। ১টি করে উইকেট নেন মাশরাফি, সানী, রুবেল ও নাসির হোসেন। ব্যাট হাতে পাকিস্তানের সেরা ব্যাটসম্যান সাদ নাসিম। ৭৭ রান করেন তিনি। এ ছাড়া ওয়াহাব রিয়াজ ৭৭ ও হারিস সোহেল ৪৪ রান করেন।